পাবনার বেড়ায় মোবাইলে গজল শোনায় শিহাব হোসেন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখা মহল্লার রহিমা খাতুন মদিনাতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র এবং পৌর এলাকার সান্যালপাড়া মহল্লার সোহেল রানার ছেলে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
থানার অভিযোগপত্র ও নির্যাতনের শিকার ছাত্র শিহাব জানান, সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক রুমে সে তার বন্ধুর মোবাইল নিয়ে গজল শুনছিল। ওই সময় মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট রহমত উল্লাহ এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে উপর্যুপরি বেত্রাঘাত করতে থাকেন। তাকে শাসিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে নিষেধ করেন ওই শিক্ষক।
আঘাতের যন্ত্রণায় সারারাত ঘুমাতে না পেরে শিহাব কান্নাকাটি করতে থাকলে সকালে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার রহমত উল্লার বিরুদ্ধে শিহাবের দাদী আঞ্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগ স্বীকার করে সুপারিন্টেনডেন্ট রহমত উল্লাহ জানান, তাদের মাদ্রাসার মধ্যে মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়া মোবাইল বাজানোর অপরাধে পেটানো হয়েছে। এটি শিশু নির্যাতন ও বর্বরতার শামিল জেনেও তিনি কেন এমন নির্যাতন করলেন এমন প্রশ্ন জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওই মাদ্রাসার সভাপতি মুকুল হোসেন বলেন, তিনি ওই ছাত্রের পরিবারকে বলেছেন, বাদী বিবাদীর বক্তব্য শুনে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, থানায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি ঘটনা তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।